
ক্যালিগুলা
- 04 May, 25
- 06:30 PM - 08:30 PM
- Academy of Fine Arts: Kolkata
- বেঁচে থাকলে ৭ নভেম্বর ২০১৩ তে তাঁর বয়স হতো একশো, কিন্তু তিনি কার বাপের চাকর যে ছেচল্লিশের বেশী বাঁচবেন, বাঁচেনগুনি, ৪ই জানুয়ারী, ১৯৬০। লুমারি থেকে প্যারিসে আসার পথে তীব্র গতির গাড়ি ছিটকে পরে রাস্তা থেকে আছাড় খায় পর পর দুটো গাছে ৪৬ বছর ১ মাস ২৮ দিনে শেষ হয়ে আলবোর কামুর জীবন। ততদিন লিখেফেলেছেন, আউট সাইডার ,প্লেগ, ফল এর মতো উপন্যাস, ক্যালিগুলার, মতো নাটক ,গুলার মতো নাটক, মিথ অফ মিসিফান আর রেবেল এর মতো দার্শনিক ভাবনা। জয় করে ফেলেছেন আস্ত একটি নোবেল, মাত্র চুয়াল্লিশেই।
- বিশ্বযুদ্ধ সমকালে লেখা নাটকগুলোর মধ্যে -‘ক্যালিগুলা’ নাট্যসাহিত্যের এক উজ্জ্বল স্বাক্ষর। দু ‘হাজার ‘ বছরের প্রাচীন রোমান সম্রাট কালিগুলা, মানুষের এক চিরন্তন আন্তবিনাশী স্বত্বা হিসাবে উঠে আসেন সেখানে, ইতিহাসের নতুন এক দৃষ্টি কোন থেকে কামু তাঁর নায়ককে এক আত্মবিনাশী মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। বোন এবং প্রেমিকা দ্রুসিলার মৃত্যু তাকে নিজের আয়নার মুখোমুখি দাঁড় করার। সময়ের ছাঁদ বদলায় আর নায়ক জানতে পারে এক চিরায়ত সত্য , ‘ মৃত্যুর শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত মানুষ অসুখি অন্তরের অসম্পূর্ণ ‘। কালো এক গভীর ছায়া, গভীরগভীর ক্ষতের মতো ক্যালিগুলার অন্তরে ক্ষরণ সৃষ্টি করে। নিরুপদ্রব, নিরুদ্বিগ্ন বেঁচে থাকার বদলে ক্যালিগুলা বেছে নেয় স্বংসের পথ, বিনাশের পথ যার শেষ প্রান্তে আছে আত্মবিনাশের অনিবার্য পরিণতি। স্বৈরাচারী, রক্তপিপাসু ক্যালিগুলোকে তার উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা গোপনে ষড়যন্ত্র করে খুন করে। এই পর্যন্ত ডাটকের কাহিনী অংশের মূল ভাবনা বলা যেতে পারে। কামুর নায়কের কাছে মৃত্যুই শেষ কথা নয়। তার কাছে জন্মের ক্ষেত্রেও কোন ও সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে না, সেখানেও তার বলার বিষয় “আমায় তুই আনলি কেন ফিরিয়ে নে”।
- “আওয়ার ক্রিমিনাল স আর নো লাংগর দোজ হেল্পলেস চিলড্রেন হু প্লিজজ লাভ অ্যাজ দেয়ার এক্সকিউজ অন দ্য কনট্রোরী, দে আর অ্যাডাল্টস, এন্ড দি হ্যাভ আ পারফেক্ট অলিরাই: ফিলজফি,হুইচ ক্যান বি ইউজাব ফোর এনিথিং, ইভেন ফর ট্রান্সফর্মিং মার্ডারাস ইন্টু জাজস।
- ৬২ বছর আগে দ্য রোবেল-এর ভূমিকায় শুরুতেই কথাগুলো কামু লিখেছিলেন। তিনি এই কলকাতায় একদা কফি হাউসের ব্ল্যাক কফি-সিক্ত গম্ভীর দর্শনচিন্তায় এতটাই উঠে আসতেন যে, রসিক তাই চালু হয়ে গিয়েছিল, ‘কামু ধরিয়ে চুমু খাওয়া,। আর আজ তাঁর জন্মশতবর্ষে আরও একবার তিনি ভয়ঙ্কর ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন বিদ্বজন, নাগরিক সমাজ, জনগণ, সিপিএম, তৃণমূল, পর্নোগ্রাফিতে জট পাকিয়ে যাওয়া এই পশ্চিমবঙ্গ। বহু অন্তর দ্বন্দ্বে বিকৃত হয়ে বুঝেছিলেন, মানুষের ভবিষ্যৎ বিদ্রোহ, বিপ্লব ছাড়া বিদ্রোহে, আর সেটাই স্বাধীনতা না খুইয়েও পরিবর্তন আনার একমাত্র সুযোগ। মাঝে মাঝে আমাদেরকে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে “না” বলতে হয়। কারণ চিন্তাশীলতার দায় নয়, কোন ও দার্শনিকতার দায়ও নয়, চিন্তা সহজ বেঁচে থাকার, অস্তিত্বের সংকটের দায়। এবং এই দায়টা রক্ত চক্ষু অপেক্ষা করেও মাঝে মাঝে বলতে হয়। এই “না” বলাটাই বিদ্রোহ। ‘হোয়াট ইজ রেবেল’? আ ম্যান হু সেজ নো: বাট হুজ রিফিউজাল ডাজ নট ইলপ্লাই আ রিনানশিয়েশন‘। দ্যা রেবেল -এর প্রথম লাইনটা বহুবার পড়েছি আমরা, উত্তেজিত হয়েছি, বিপ্লবের আঁচ পুইয়েছি, কফির কাপ হাতে।”না”বলতে পারার দায়ীটা নিতে পেরেছি কি? সে ভাবনা থেকেই এই নাটকের জন্ম।
আলব্যের কামুর জন্মশতবর্ষে প্রাচ্য নাট্য দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Venue: Academy of Fine Arts
-
Platinum @ ₹500
Stock:: 21 seats
-
Premium @ ₹400
Stock:: 40 seats
-
Gold @ ₹300
Stock:: 36 seats
-
Silver @ ₹200
Stock:: 72 seats
-
General @ ₹100
Stock:: 83 seats
Platinum₹500
Premium₹400
Gold₹300
Silver₹200
General₹100